গ্র্যান্ড সুলতানে একটি আনন্দময় সন্ধ্যা
১৭.১০.২০২৫: বলা হয়—ভ্রমণ মানুষকে ক্লান্ত নয়, প্রাণবন্ত করে। আর যখন সেই ভ্রমণ হয় AB Recreation Club কর্তৃক আয়োজিত AB Family Night-এর উচ্ছ্বাস, তখন তা হয়ে ওঠে বন্ধুত্ব, হাসি আর স্মৃতির এক অনন্য উৎসব।
সেদিন সকালে সূর্যের আলো যেন একটু বেশিই উজ্জ্বল ছিল। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতিও বুঝি আমাদের এই বিশেষ সফরের অপেক্ষায়। সিলেট রিজিয়নের সহকর্মীরা সবাই প্রস্তুত—গন্তব্য, গ্র্যান্ড সুলতান, শ্রীমঙ্গল। প্রায় পৌনে ১১টার দিকে উপশহর, সিলেট থেকে বাস যোগে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু হয়; সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে, তখনই পৌঁছে গেলাম শ্রীমঙ্গল চৌমুহনীতে। সেখানে সবাই আদায় করলাম জুমার নামাজ। নামাজ শেষে খেয়াল করলাম—আমার মোজাটা উধাও! 
কে জানে, হয়তো কোনো অচেনা পায়ে আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই মোজা! সাধারণত জানতাম মসজিদ থেকে জুতা হারায়, আমার হারালো মোজা। পরে অবশ্য ফয়সাল ভাইয়ের ব্যাকআপ মোজা জোড়া দিয়ে ঐদিনের বেইজ্জিত থেকে রক্ষা পেলাম—ধন্যবাদ ফয়সাল ভাই।
কে জানে, হয়তো কোনো অচেনা পায়ে আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই মোজা! সাধারণত জানতাম মসজিদ থেকে জুতা হারায়, আমার হারালো মোজা। পরে অবশ্য ফয়সাল ভাইয়ের ব্যাকআপ মোজা জোড়া দিয়ে ঐদিনের বেইজ্জিত থেকে রক্ষা পেলাম—ধন্যবাদ ফয়সাল ভাই।নামাজ শেষে আবারও যাত্রা গন্তব্যের দিকে। পথিমধ্যে রিসোর্টে প্রবেশের আগে একটু অ্যাডভেঞ্চার—রবার বাগানের ভেতর দিয়ে হাঁটা, আর দুপুরে সবাই মিলে সেখানেই জম্পেশ খাবার। প্রকৃতির গন্ধ, চারপাশে উঁচু-নিচু সবুজ টিলার ঢাল, আঁকাবাঁকা রাস্তা আর সারি সারি চা-পাতার শ্যামল ঢেউ—সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি।
প্রায় মধ্য বিকেলে রিসোর্টে পৌঁছে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বিকেল চারটার দিকে গলফ এরিয়ায় শুরু হলো ব্যাডমিন্টন ফাইনাল রাউন্ড—চিৎকার আর তালি যেন রিসোর্ট কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। এরপর মাঠে নেমে গেল Kick off Football (Female) গ্রুপ—যেখানে বলের চাইতে বেশি গড়াগড়ি খেলো খেলোয়াড়রাই! 
এরই মধ্য দিয়ে চললো ফ্যামিলি ফটোসেশন, আর MD স্যারের সাথে পুরো সিলেট রিজিয়ন টিমের এক স্মরণীয় গ্রুপ ফটো। কেউ মিস করতে চায়নি সেই মুহূর্তের হাসিটুকু। সঙ্গে ছিল বায়োস্কোপ দেখা আর টার্গেটে তীর ছোড়া—কে কোথায় মারল, কে কোথায় তীর হারাল—সব মিলিয়ে হইচইময় এক বিকেল।
এরই মধ্য দিয়ে চললো ফ্যামিলি ফটোসেশন, আর MD স্যারের সাথে পুরো সিলেট রিজিয়ন টিমের এক স্মরণীয় গ্রুপ ফটো। কেউ মিস করতে চায়নি সেই মুহূর্তের হাসিটুকু। সঙ্গে ছিল বায়োস্কোপ দেখা আর টার্গেটে তীর ছোড়া—কে কোথায় মারল, কে কোথায় তীর হারাল—সব মিলিয়ে হইচইময় এক বিকেল।সন্ধ্যা নামতেই শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। ঘন্টা খানেক পর শুরু হল AB Family Night -এর কর্মসূচি। মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য রাখেন AB Recreation Club-এর সদস্য ও সিলেট রিজিয়নের রিপ্রেজেন্টেটিভ, জনাব আহমেদ মননুন পান্না স্যার (ভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক, ভিআইপি রোড শাখা, সিলেট)। এরপর বক্তব্য রাখেন AB Recreation Club-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ব্যাংকের সম্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব সৈয়দ মিজানুর রহমান স্যার, ও প্রেসিডেন্ট জনাব রিয়াজুল ইসলাম স্যার (এএমডি)। তাঁদের আন্তরিক কথামালা যেন সন্ধ্যার আবহে নতুন আলো জ্বেলে দিল—একতা, পারস্পরিক বন্ধন আর আনন্দের এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে।
বক্তব্য শেষে শুরু হলো পুরস্কার বিতরণ পর্ব, যেখানে দিনজুড়ে খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পেলেন সম্মাননা। এরপর শুরু হলো বহুল প্রতীক্ষিত রাফেল ড্র—আর সেখানে ভাগ্য যেন একটু বেশিই সদয় ছিল আমার প্রতি! জিতে নিলাম একটি স্মার্টফোন, সঙ্গে সহকর্মীদের উচ্ছ্বাস। সবশেষে জমকালো বুফে ডিনার পার্টি—হাসি, গল্প আর তৃপ্তির এক উষ্ণ সমাপ্তি।
জিতে নিলাম একটি স্মার্টফোন, সঙ্গে সহকর্মীদের উচ্ছ্বাস। সবশেষে জমকালো বুফে ডিনার পার্টি—হাসি, গল্প আর তৃপ্তির এক উষ্ণ সমাপ্তি।রাতের দ্বি-প্রহরে যখন ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, চারদিকে তখনও ছড়িয়ে শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানের নরম কুয়াশা আর চাঁদের আলোয় ভেজা পাহাড়ের চূড়া। মনে হচ্ছিল—এটা কেবল একটি অফিসিয়াল অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি পরিবারের গল্প। শ্রীমঙ্গলের চা-পাতার সুবাসে আজও ভাসে সেই দিনের স্মৃতি—AB Family Night 2025 শুধু একটি কর্পোরেট ইভেন্ট নয়, এটা আমাদের হৃদয়ের সবুজতম অধ্যায়। 
অবশেষে শ্রীমঙ্গল ছাড়ার সময়, শামীম ভাইয়ের প্রাইভেট কারে চেপে সিলেটের উদ্দেশে ফেরার যাত্রা শুরু হলো; দেড়টার দিকে বাসায় ফিরলাম।
২৭.১০.২০২৫
মজুমদার পাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট