কবিতা
“মহানবি” (সনেট)
-রানা সরকার
মরুর দেশে হলো মহানবির জন্ম,
স্রষ্টা সৃষ্টি করলেন ধরা তাঁর জন্য।
সব মুসলিমের আদর্শ প্রিয় নবি,
তাঁর দেখানো পথ সফলতার চাবি।
সত্য-ন্যায়ের পথে ছিলেন অবিচল,
সব জীবের প্রতি মন ছিলো কোমল।
শাসক, শিক্ষক হিসেবে তিনিই শ্রেষ্ঠ,
তাঁর ছোঁয়ায় মানুষ হলো, কত ভ্রষ্ট।
পিতা,স্বামী হিসেবে মহানবিই সেরা,
নারী সম্মান পেয়েছে প্রিয় নবি দ্বারা।
মহানবি হলো ধরার মহামানব,
সবার অনুকরণীয় তাঁর আদব।
মহানবির গুণ লিখে হবে না শেষ,
আল্লাহর বন্ধু, মর্যাদা তাঁর অশেষ।
লালবাগ, ঢাকা
রাখবনা শির গর্দানে
-তানহা জনি
কোন কাফেরের বাচ্ছারে তুই
আয় ডাকি আয় ময়দানে
দেখবো রে তোর বুকের পাটা
রাখবো না শির গর্দানে
ইসলাম কিবা নবীর প্রেমে
প্রাণ দিতে মুমিন জানে
দেখবরে তোর বুকের পাটা
রাখবনা শির গর্দানে।
কোন মুখে তুই দেস রে গালি
আমার নবীর শানে
মূর্খরে তুই বুঝিস কি আর
আমার নবীর মানে
লেজ গুটিয়ে আছিস কেন
তাকবীর কিরে যায় কানে?
যার প্রেমেতে ব্যাকুল সবাই
যে দিকে মন টানে
কেমন করে আঘাত করিস
মুসলমানের প্রাণে
ও কাপুরুষ পারবি কিরে
দে টুকা দে এই গানে।
ইনসানিয়াত কুপোকাত
-কায়েস মাহমুদ চৌধুরী
তোমরা যারা সত্য বিমুখ
বন্ধু কাফের মুশরিকের
তোদের ‘পরে ধিক শত ধিক
দালাল, শত্রু মুমীনের।
তোমরা যারা মদদপুষ্ট
রাজনীতিতে বাজিমাত
গদি লাভের আরাধনায়
ইনসানিয়াত কুপোকাত।
তোমরা যারা নিরব হলে
নবীর শানে; শ্লোগানে
নেতার আদেশ শিরোধার্য
ঘসেটি বঙ কাননে!
তোমরা যারা ভারতপ্রেমি
হিন্দুবাদের দাসত্বে
বলছি কাফের না’য় মুনাফিক
শয়তানেরই আয়ত্বে।
ধ্বংস হবে ওরা
-আলিম উদ্দিন আলম
নবীর চরিত্র পাক পবিত্র সঠিক নিশানা
নবী ছিলেন মানব জাতির শান্তির ঠিকানা।
তাঁর প্রতি যার অবমাননার দৃষ্টিভঙ্গি রবে
ধ্বংস হবে সে ধ্বংস হবে খোদার গজবে।
হউক যতজন নবীর দুষমন কুৎসা রটায় যারা
জিহবা কেটে ফেলবো ওদের সবাই রুখে দাঁড়া।
লেখকঃ সম্পাদক, আমাদের ডাক
জোয়ার এলো শহীদ হওয়ার
-ছালিক আমীন
ওই বেদুঈন গাল দিয়েছে নবীকে,
জীবন দেবো সঙ্গে আমার যাবি কে?
লড়তে যাবো, মরতে যাবো ময়দানে
নবীর প্রেমের সুর তুলো আজ জয়গানে
নিদ্রা চোখে আর থেকো না মুমিন ভাই,
বিশ্বনবীর শিষ্য হয়ে মরতে চাই।
হে প্রিয় রাসূল (সা.)
-এস এ সজীব
বুকের বাঁপাশে আগলে রেখেছি
আপনার প্রিয় নাম,
ঘৃণার বারুদে পারবে না কেহ
ঝলসাতে তাঁরই দাম!
যে প্রেম আপনি হৃদয়ে আমার
করেছেন বদ্ধমূল,
সে প্রেমে আমার জীবন বিলাতে করবো না কোন ভুল।।
হে প্রিয় রাসূল আমার হে প্রিয় রাসূল
হে প্রিয় রাসূল আমার হে প্রিয় রাসূল।।
আপনি তো সেই নিষ্কলঙ্ক
মহান চরিত্রবান,
প্রশংসা যাঁর করছে খোদার
পবিত্র কুরআন!
কারো অপবাদ কটুক্তিতে কমবে না একচুল।।
আপনি তো সেই মহান মানুষ
হৃদয়ের অধিকারী,
আঘাতকারীকে না করে আঘাত,
চেয়েছেন নাজাত তারই;
মত্ত থেকেছেন অসুখী ধরায় ফোটাতে সুখের ফুল।।
আপনি তো সেই কোমল ভাষায়
দিগ্বিজয়ের সুর,
যাঁর তরঙ্গে পাথর হৃদয়েও
জ্বলতো প্রেমের নূর!
আপনার মতো উদারতা আর বিনয়ের নেই তুল্।।
রাসূল সেনা
-তাওহিদুল ইসলাম
আমরা মানিনি,আমরা মানবো না
রাসূলের বিরুদ্ধে বক্তব্য অবমাননাকর।
প্রতিবাদ করেছি,প্রতিবাদ করবোই
আসুক যতোই বজ্র-ঝড়।
রক্ত দিয়েছি,আরও দেবো
যখনই হবে অপবাদ রাসূলের।
ছাড় দেইনি,ছাড় হবে না
মনে রেখো,দল নাস্তিকের।
ভুলে যেও না,ভুললে চলবে না
আমরা কোন জাতির।
ইতিহাস খোঁজো,ইতিহাস দেখো
পেয়ে যাবে অসংখ্য নজির।
আপোষ করিনি,আপোষ করিবো না
ছুড়া হোক শত তীর।
রাসূলকে নিয়ে যত প্রশ্ন
সবই অপ্রাসঙ্গিক।
যে জন করে,যাহারা করে
কটূক্তি অন্যের
মনে রেখো ভাই,আর কিছু নয়
এইসবই শিক্ষা তাদের।
মোরা উম্মত মুহাম্মাদের
-তাওহিদুল ইসলাম শ্রাবণ
কবে দাড়াবো রওজার কিনারে
কামলিওয়ালা গো তোমার
করো ওগো তোমার দিদারে
জিবন উজালায় আমার।
ওই মাদিনার পথো পানে
চেয়ে থাকি আমি প্রতি ক্ষনে
নাও ডেকে নাও তুমি আমাকে
মন চায় যেতে সবুজ মিনারে।
যার ওসিলায় সৃষ্টি সবি
আকাশ জমিন আর ঝর্না নদি
লিখেছে শান কত কবি
তোমার প্রেমে ওগো প্রিয় নাবি।
সাজ সকালে পাখিরা সব
গায় যে তোমারি গান
সেই সুরে মুগ্ধ হয় আমার
অশান্ত এই প্রাণ।
কাফেরেরা তোমায় নিয়ে কটুক্তি যখন করে
আঘাত আনে তখন সকল উম্মতের প্রানে প্রানে
প্রতিবাদের আওয়াজ তুলি পথে পথে নেমে
প্রমান করে দেই যে মোরা উম্মত মুহাম্মাদের।