
বানের জলের নখর থেকে
নিসর্গে আমি ভরসা রাখিনা।
নিসর্গকর্তার ওপর তাবৎ ভরসা।
তিনিই জানেন কিসে মঙ্গল আমার।
কিংবা অমঙ্গল নিহিত কিসে।
অসহায় মানুষের দীর্ঘশ্বাসে যতটা আহত আমি।
রাজনীতিক বিত্তবানের অবহেলায় এর বহু গুণে বহু বেশি।
মানুষ পালাতে চায়।
বেরুনোর জায়গা নেই।
বেঁচে আছে কোনোমতে । ।
স্বাভাবিক নিয়মে পশুপাখির চেয়েও নিকৃষ্টতর!
ঘরভর্তি পানি।
সাপের ভয়।
কী পাবে,কী খাবে-
মানুষের মনে বড় সংশয়! বুড়োবুড়ি যুবা অসহায়!
দাঁড়িয়ে আছে ঘরের জানালায় নিঃশ্ব ভিখারির মতো।
যদি কেউ আসে হাতে নিয়ে কোনো কিছু।
পশুর লাশের মতো ভাসছে কেউ।
মরছে এবং মরেছে অনেকে।
অস্তিত্ব টিকাবে বলে ডালে ঝুলে আছে কেউ ।
যতটা সম্ভব গাছে হাত পেঁচিয়ে রেখেছে।
কলার ভেলা নেই, নৌকা অপ্রতুল।
স্পিডবোট সে তো স্বপ্নেরও অতীত।
ত্রান নিয়ে হাজির অনেকে।
বহু মহানুভব, বহু সংগঠন।
চিত্ত -বিত্তের অধিকারী অনেকেই।
এতে এক দু’বেলার ব্যবস্থা হয় বটে।
পেট সাঁতার পানি পাড়ি দিয়ে আসলো যে যুবতী।
রিলিফ না পেয়ে মেঘলা মুখে বৃষ্টিকন্ঠে জলভরা ঘরে ফিরে গেলো!
একটা পক্ষ চলে গেলো আজ।
মানুষের ভারী নিঃশ্বাসে ভরা।
খোলামেলা ধানের জমিতে পাগলা বর্ষার দুঃশাসন! এক আকাশ জলসমুদ্র! মহাসমুদ্রের লক্ষন!
এত নোংরা জলের নখর থেকে মুক্ত হলো না মানুষ! বিপদগ্রস্ত মানুষ! জীবনের বিপক্ষে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে।
আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করো মানুষ।
মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসো মানুষ।
মঙ্গলবার,২৮ জুন ২০২২
হাতিমবাগ,শিবগঞ্জ, সিলেট।